'বাইসাইকেল থিভস' এক কালজয়ী চলচ্চিত্রের গল্প!



মুভি : বাইসাইকেল থিভস
পরিচালক : ভিত্তোরিও দে সিকা
দৈর্ঘ্য : ৯৩ মিনিট
মুক্তি: ২৪ নভেম্বর ১৯৪৮
ভাষা : ইতালীয়


১৯৪৮ সালে মুক্তি পায় ইতালীয় এই মুভিটি। ড্রামা ঘরানার মুভি। মুভির রানটাইম ৯৩ মিনিট। মুভিটা শুধু একটা মুভি না, এটা একটা সংগ্রামের গল্প, বেঁচে থাকার গল্প, টিকে থাকার গল্প। ইতালিতে দ্বিতীয় যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে একটা পরিবারের কাহিনী নিয়ে মুভিটি। যেহেতু যুদ্ধ মাত্রই শেষ হয়েছে সেহেতু অধিকাংশ মানুষই বেকার। এটা সেটা করে সবাই টিকে আছে। তেমনই একজন হচ্ছেন আন্টোনিও। বউ আর একটা বাচ্চা (বাচ্চার নাম ব্রুনো) নিয়েই তার সংসার। একটি চাকরীর পিছনে সকলেই ছুটছে। ভাগ্যক্রমে আন্টোনিও চাকরীটা পেয়ে যায় কিন্তু চাকরীর সাথে একটা শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়। শর্তটা হচ্ছে, একটা বাইসাইকেল থাকা লাগবে।  নতুন করে বাঁচার তাগিদে নিজেদের অধিকাংশ জিনিসই বন্ধক রেখে সাইকেল কিনে ফেলে সে এবং ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে চাকরীর প্রথম দিনেই সে সাইকেলটা হারিয়ে ফেলে! এরপর?

এরপর বাবা আর ছেলে মিলে খুঁজতে বের হয় হারিয়ে যাওয়া সাইকেল। শেষমেশ কি তারা সাইকেল ফেরত পাই? নাকি পাইনা?

বাইসাইকেল থিভস চলচ্চিত্রের একটি কালজয়ী দৃশ্য  

মুভিতে মনে রাখার মত খুব বেশি সংলাপ নেই, কোন হাস্যকর দৃশ্য নেই কিন্তু এই মুভিতে একটা ‘স্টোরি’ আছে। যে স্টোরি’টা আপনাকে এক বসাই মুভিটা শেষ করতে বাধ্য করবে। ভাষা হারিয়ে ফেলার মত কিছু সিন আছে মুভিতে। বিশেষ করে বলতে গেলে লাস্ট সিন। যে সিনটা আপনাকে ভাবাবে, অনেকবার ভাবাবে। মুভি শেষেও মুভির রেশ কাটাতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে আপনার।
 

No comments

Powered by Blogger.