এক আমেরিকান বোমারু বিমানের পাইলটের গল্প
Official Poster Of Rescue Dwan (2006)
Rescue Dwan (2006)
Genre: Biography, War, Survival
Director: Werner Herzog
Actors: Christian Bale, Steve Zahn, Jeremy Davies
Runtime: 2h 6m
IMDB: 7.3
পুঁজিবাদী আমেরিকানদের যুদ্ধবাজ মনোভাব এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কিংবা আমেরিকানদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের কারণে প্রতিনিয়ত তারা আক্রমণ করেছে বিভিন্ন দেশকে। ফলশ্রুতিতে হাজারো মৃত্যু আর হাজার বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি করেছে তারা বিভিন্ন দেশে। বর্তমানেও তা চলমান। তাদের এই কর্মকাণ্ডের বলি হয়েছে অসংখ্য দেশ ও সেই সব দেশের সাধারণ মানুষ৷ পাশাপাশি তাদের সামরিক কর্মকর্তারাও বিভিন্ন সময়ে নিহত ও বন্দী হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে।
যদিও সিনেমায় আমেরিকানদের মাহাত্ম্য তুলে ধরা হয়, তবে বাস্তবতা কারোই অজানা নয়৷
Rescue Dwan (2006) সিনেমার গল্প এক আমেরিকান বোমারু বিমানের পাইলট কে নিয়ে। যে কিনা ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় বোম্বিং করতে গিয়ে বিমান দূর্ঘটনায় বন্দী হন।
সিনেমার গল্পঃ ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়, জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন পাইলট ডিয়েটার ডেনলারকে (ক্রিশ্চিয়ান বেল) তার প্রথম মিশনে বোম্বিং করার জন্য একটি সিক্রেট মিশনে পাঠানো হয়৷ সেখানে লাওসে বোম্বিং করার সময় তার বিমান টি দূর্ঘটনার শিকার হয়ে ভূপাতিত হয়। এরপর তাকে বন্দী করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ক্যাম্পে যেখানে বন্দীদের রাখা হতো। সেখানে সে অন্যান্য বন্দীদের সাথে মিলিত হয়। নির্যাতন ও অনাহারে কিছুদিন কাটানোর পর, ডিয়েটার তার সহবন্দী ডুয়েন, জিন ও অন্যদের সাথে পালানোর পরিকল্পনা করে৷
কিন্তু জঙ্গলের পরিবেশ এই জেলখানার চেয়েও ছিল মারাত্মক ভয়ংকর।
কি হয় এর পর? ডিয়েটর ও তার সহবন্দীরা কি পালাতে পেরেছিল?
জানতে হলে মুভিটি দেখুন।
পরিচালনাঃ পরিচালনায় ছিলেন Werner Herzog. যিনি একাধারে রাইটার, ডিরেক্টর, এক্টর, প্রডিউসার সহ নানা গুণে সমৃদ্ধ৷ তিনি ৭৪ টি সিনেমা পরিচালনা সহ ৩০ এর অধিক সিনেমায় অভিনয় ও প্রডিউসার হিসেবে কাজ করেছেন। তার মেধা ও পরিচালনা নিয়ে কারো প্রশ্ন থাকার কথা নয়৷ অন্য সিনেমাগুলোর মতই এই সিনেমাটিতেও তার কাজের ছাপ স্পষ্ট।
অভিনয়ঃ প্রধান চরিত্রে ছিলেন প্রিয় ক্রিশ্চিয়ান বেল। তার প্লে করা ডিয়েটার ডেনলার চরিত্রটি ই ছিল মূল আকর্ষণ। মূলত তার অভিনয় দক্ষতার জন্যেই সিনেমাটি প্রাণবন্ত ও উত্তেজনাকর ছিল৷ এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রগুলোতে অসাধারণ অভিনয় করেছেন Steve Zahn, Jeremy Davies.
সিনেমাটোগ্রাফিঃ এই সিমেটার অন্যতম শক্তিশালী দিক ছিল এর সিনেমাটোগ্রাফি। সিনেমায় ভিয়েতনামের সবুজ পাহাড়ি জঙ্গল ও বিভিন্ন পাহাড়ি লোকলয় দেখানোর জন্য যেই স্পট নির্ধারণ করা হয়েছিল তা ছিল অসাধারণ। যুদ্ধ ও ঐতিহাসিক সিনেমাগুলোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সিনেমাটোগ্রাফি৷ এই সিনেমাতে সেটা দেখতে পেয়ে ভালোই লেগেছে।
সব মিলিয়ে ভাল একটি সিনেমা। তবে এখানে ভিয়েতনামের লোকজনকে খারাপ আর আমেরিকান সৈন্য হিসেবে তাদের ফেরেস্তা ভাবার কোন কারণ নেই।তবে সিনেমাটি ভাল লাগবে৷

No comments